গ্রামের রাস্তার মোড়ে আইসক্রিমের কাঠের বাক্স পেটাচ্ছে ফেরিওয়ালা, সেই শব্দ কানে যেতেই ছুটে আসে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা। চাল কিংবা পয়সায় বিক্রি করে নারকেল মেশানো লাল, সাদা, সবুজ রঙের আইসক্রিম। কাঠফাটা রোদে আইসক্রিম খাওয়াকে কেন্দ্র করে জমে যায় ছোট-খাটো একটা আসর।
এই চিত্রটি কল্পনা করলে ফিরে যেতে হয় নব্বই দশকে। কালের স্রোতে প্রায় হারিয়ে গেছে এই বাস্তবতা গ্রামের মেঠোপথে এ দৃশ্য এখন দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু বাস্তব এই গল্প পর্দায় তুলে আনছেন নাট্যকার-নির্মাতা হিমু আকরাম। ‘আইসক্রিমওয়ালা’ শিরোনামের টেলিফিল্মে দেখা যাবে এটি। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে পুবাইলের বিভিন্ন স্থানে টেলিফিল্মটির শুটিং শেষ হয়েছে।
যাতে আইসক্রিমওয়ালা মন্টু চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরফান আহমেদ। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন—সালাহউদ্দিন লাভলু, সামিয়া, নরেশ ভুঁইয়া, সম্পা নিজাম, আহমেদ নেওয়াজ, তামি রহমান, রাজু প্রমুখ। সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমি অতিথিশিল্পী হিসেবে কাজ করেছি। হিমুর গল্প সবসময়ই টানে। এই টেলিফিল্মে আইসক্রিমওয়ালা মন্টুর প্রতিপক্ষ আমি।
তার প্রেমিকা জবা বয়সে তিনগুণ ছোট হলেও তাকে বিয়ে করি। পাত্রী দেখা, নৌকায় করে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরা, নানা আয়োজনে ভরপুর ছিল টেলিফিল্মটি। সব মিলিয়ে চরিত্রটি বেশ মজার। আগে গ্রামের বাস্তবতা এমনই ছিল। টেলিফিল্মটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করা আরফান আহমেদ বলেন, ‘অনেক দিন পর মনের মতো চরিত্রে কাজ করলাম।
গল্পে ৯০ দশক বুঝানোর জন্য পরিচালক হিমু আকরাম সব আয়োজনই করেছিলেন। তখনকার সময়ে আইসক্রিমের বাক্স, হ্যাজাক বাতি, হারিকেন, নৌকা— কোনোকিছুর কমতি রাখেননি হিমু। বরাবরই একটু অন্যরকম গল্প নিয়ে নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করে থাকেন পরিচালক হিমু আকরাম। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
এ পরিচালক বলেন—‘এক কথায় আমাদের ফেলে আসা জীবনের গল্প এটি। আমি শুধু চেষ্টা করেছি এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দর্শকদের খানিক সময়ের জন্য অতীতে ফিরিয়ে নিতে। ঈদুল আজহায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে টেলিফিল্মটি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।